সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ছয় মাসে গ্রেপ্তার ১১৩২৩, মামলা নিষ্পত্তি ৫৫৫৮ শ্রীবরদীতে মেধাবী শিক্ষার্থী সুবর্ণার পাশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কুড়িগ্রামে বসতবাড়ির পিছনের গাছ থেকে ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের অজগর সাপ উদ্ধার প্রশিক্ষা ধরণীগঞ্জ শাখার কিস্তি অফিসার আজম ইসলামের অনৈতিক প্রস্তাব: ভুক্তভোগীর পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েছে অনলাইনে চাকরি ও ব্যবসার প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল তারা নেপালে ফেসবুক, এক্স, ইউটিউবসহ জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম বন্ধ শ্রীনগরে সার্চওয়ারেন্টে সেলিনা আক্তারের মালামাল জব্দ লক্ষীচাপ বল্লমপাঠে ফুটবল প্রীতি ম্যাচ: যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখার উদ্যোগ সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের নিন্দা : ঢাকা প্রেসক্লাবের কঠোর প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি মাদক-চাঁদাবাজি থেকে খুনী: ঢাকার ‘লেডি ডন’ গ্রেপ্তার
২ লাখ টাকার চুক্তিতে খুন করে প্রবাসীর স্ত্রীকে

২ লাখ টাকার চুক্তিতে খুন করে প্রবাসীর স্ত্রীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলায় জমি বিরোধের জেরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ২ লাখ টাকার চুক্তিতে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছিল সেপটিক ট্যাংকে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ভাড়াটিয়া খুনিদের দিয়ে ভাশুরের স্ত্রী ওই হত্যাকাণ্ড ঘটান।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণগ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন নিহতের ভাশুরের স্ত্রী নুরজাহান বেগম, ভাড়াটিয়া খুনি আনোয়ার হোসেন, রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু। বুধবার তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

ওসি আজিজুল হক বলেন, ফেরদৌসী বেগম ও তার ভাসুরের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের মধ্যে বাড়ির পাশের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় নুরজাহান তার দেবরের স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং গ্রেপ্তার হওয়া আনোয়ারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। পরে এ হত্যায় অংশ নেন গ্রেপ্তার অন্য দুই আসামি রুবেল ও জিল্লু।

গত ২৭ জুন সকালে নির্জন একটি বাগানে ফেরদৌসী বেগমকে হত্যা করে তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের এক বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয় এবং খোঁজাখুঁজি চলতে থাকে। মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকাল ৮টায় স্থানীয়রা বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে ওই সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ প্রথমে নুরজাহানকে আটক করে। তার জবানবন্দিতে বাকি তিন আসামির নাম উঠে আসে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ভাড়াটে তিন খুনিকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, আসামিদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল ও গলার চেইন উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (০২ জুলাই) তাদের আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তিন খুনিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com